নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১১ মে ২০২৪ ১৮ : ৪৯

এক যুগ পর ‘ঘর ওয়াপসি’! দারুণ খুশি কাঞ্চনা মৈত্র। ২০১২-য় নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘অ্যাক্সিডেন্ট’-এ অভিনয় করেছিলেন। তারও আগে ই টিভি বাংলা চ্যানেলে। তারপর দীর্ঘ বিরতি। ফের ২০২৪-এর পুজোমুক্তি ‘বহুরূপী’। সেখানে কাঞ্চনা আবারও পরিচালকজুটির সঙ্গে। টলিউড বলছে, কাঞ্চনাকে নাকি শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরণি হিসেবে দেখা যাবে। বেশবাসও আটপৌরে। সবিস্তার জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। নিজের চরিত্র বা ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে কিচ্ছু জানাননি। বদলে ভাগ করে নিয়েছেন, ১২ বছর পরে চেনা মানুষদের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা।

ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময়েই শিবপ্রসাদ বলেছিলেন, সত্য ঘটনা অবলম্বনে আরও একটি থ্রিলার উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থা দর্শকদের উপহার দিতে চলেছে। সাল ১৯৯৩ থেকে ২০০৫। সেই সময় ঘটে গিয়েছিল তোলপাড় করা এক অপরাধমূলক ঘটনা। এই ছবির পটভূমিকায় সেই কাহিনি। গুঞ্জন, এই পটভূমিকায় নাকি উঠে আসবে কোনও বিশেষ একজনের জীবন। যার জীবন বদলে যাওয়ার পিছনে কাঞ্চনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দিন চার-পাঁচের শুটিং করেছেন তিনি। কলকাতা এবং টাকীতে।
১২ বছরে পরে নন্দিতা-শিবপ্রসাদ কতটা বদলেছেন ওঁরা? কতটা বদলেছে শুটিংয়ের ধারা, পরিবেশ? 

প্রশ্নের জবাবে কাঞ্চনা বলেছেন, ‘‘নন্দিতাদি বরাবর স্নেহশীল। ওঁর আচরণে কোনও পার্থক্য ঘটেনি। নন্দিতাদি মানেই ভীষণ আরাম। আর শিবুদা তো আমার চোখে দেখা সেরা অভিনেতা। নিয়মিত অভিনয় করলে বাঘা বাঘা তারকাদের শুইয়ে দিতেন। শুট করতে গিয়ে দেখলাম, সেই ধার আরও বেড়েছে। ছবি দেখে আপনারাও বলবেন। আর অভিনয়ের সময় নিজের অসুস্থতার কথা বেমালুম ভুলে যান।’’ এই প্রসঙ্গে তিনি ছোট্ট অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। একদিন একটি দৃশ্য ছিল। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতাকে দাঁড়ানো থেকে বসতে হবে। কোনও কারণে দৃশ্যটি একাধিক বার শিবপ্রসাদকে করতে হয়েছে। কোনও আপত্তি না করে তিনি সেটা করেই গিয়েছে। ১০-১২বার ওঠবোসের পরে অভিনেত্রী ছবির নায়কের মুখে অল্প ব্যথার রেখা দেখেছিলেন। অভিনেতার হাবভাব সেটের সবাইকে ভুলিয়ে দিয়েছে, তিনি কিছুদিন আগেই বড় দুর্ঘটনা থেকে উঠেছেন। ফলে, প্রশ্ন করলে শিবু ইশারায় কোমরের ব্যথার কথা বলেন। কাঞ্চনার দাবি, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে পড়ে যায়। এবং শ্রদ্ধাও আরও বেড়ে যায়। শিবুদা এখন যে জায়গায় সেখানে নিজের জন্য বাড়তি মনোযোগ চাইতেই পারেন। তিনি কিন্তু সেটা করেননি।’’

শুটিংয়ের পরিবেশ সম্বন্ধে কাঞ্চনা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার শুটিংয়ের পরিবেশ বরাবর ঘরোয়া। এখনও সেটাই আছে। কোনও বাড়তি কোলাহল নেই। সবাই মন দিয়ে কাজ করেন। বরং হাতেরটা শেষ করে পরের কাজে হাত লাগান তাঁরা। প্রথম পুজোর ছবি ‘রক্তবীজ’ ব্লকবাস্টার। দ্বিতীয়টি প্রথম ছবিকে ছাপিয়ে যেতে পারবে? কাঞ্চনার আশা, ‘বহুরূপী’ আগামীতে একটি বিশেষ সময়ের দলিল হয়ে থাকবে।